আগামী বছর শবে বরাত কবে? উৎসবে ছুটি থাকবে ক’দিন?
আগামী বছর কবে পালিত হবে শবে বরাত? সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর তরফে ইতিমধ্য়েই মিলেছে সেই ইঙ্গিত। শবে বরাত উপল্যক্ষে ছুটির কথা ইতিমধ্য়েই একরকম ঘোষণা করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আগামী বছরের গোড়ার দিকেই এই উৎসব পালন করবেন ইসলামধর্মীবলম্বীরা।
খুশির ইদ থেকে শুরু করে নবী দিবস বা হজ যাত্রা। এবছরের মতো শেষ হয়ে গিয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের যাবতীয় উৎসব। ২০২৪-র অনুষ্ঠানের জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গোনা শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। কবে আসবে শবে বরাত?
ইসলামীয় ক্যালেন্ডারের শাবান মাসে পালিত হয় শবে বরাত উৎসব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে উৎসবটি শবে বরাত হিসেবে পরিচিত। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এর নাম নিসফ শাবান। আবার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও তুর্কিতে এই উৎসবের নাম নিসফু সায়াবান ও বেরাত কান্দিলি।
প্রতি বছর শাবান মাসের ১৩ ও ১৪ তারিখে পালিত হয় শবে বরাত। সূর্যাস্তের পর শুরু হয়ে যা পরের দিন সকাল পর্যন্ত চলে। এই অনুষ্ঠানে সারা রাত ধরে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রার্থনা করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা।
আগামী বছরের শবে বরাত কবে, তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই ইঙ্গিত দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি। খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-র ২৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে এই উৎসব। যদিও সরকারিভাবে এখনও এই নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ইসলামীয় সমস্ত অনুষ্ঠানই নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর। ফলে এখন থেকেই নির্দিষ্ট করে কোনও উৎসবের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়া সম্ভব নয়। আমিরশাহী সরকার জানিয়েছে, শবে বরাতের দিন বদল হতে পারে। তবে তা যে ২৫ ফেব্রুয়ারির আশে পাশেই থাকবে, তা একরকম স্পষ্ট।
অন্যদিকে শবে বরাত নিয়ে ছুটির বিষয়টি ঘোষণা করেছে একাধিক ইসলামীয় দেশ। বাংলাদেশ সরকারের তরফে আগামী বছরের সরকারি ছুটির তালিকা ইতিমধ্য়েই প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার শবে বরাতের জন্য ছুটির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। উৎসবের দিন বদল হলে ছুটিও বদলে যেতে পারে বলে অবশ্য আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।